Header Ads

Header ADS

অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম। Online income

অনলাইন ইনকাম হচ্ছে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে টাকা উপার্জন করা। অনলাইন ইনকাম লিখে গুগলে প্রায়ই প্রতিদিন পাঁচ হাজারেরও বেশি সার্চ করা হয়। আপনার কাছে একটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস, ইন্টারনেট কানেকশন এবং কাজ করার মানসিকতা থাকলে আপনি ও অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন


এখন কথা হচ্ছে আপনি কিভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করবেন? হ্যাঁ আজ আমি আপনাদের দেখাবো অনলাইন থেকে ইনকাম করার বেশ কয়েকটি টিপস।

পোস্ট ও সূচিপত্র:

  • অনলাইন সার্ভে
  • ব্লগিং করে ইনকাম
  • ফেসবুক বিজনেস পেজ
  • ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম
  • অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা ইনকাম
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • ডাটা এন্ট্রি
  • ই-কমার্স বিজনেস


1. অনলাইন সার্ভেঃ

অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম এর জন্য অনলাইনে সার্ভে একটি খুবই সহজ এবং শর্টকাট মাধ্যম।অনলাইন সার্ভে করে প্রতিদিন 500 থেকে 1000 টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে অনলাইন সার্ভে কি? অনলাইন সার্ভে হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এটি এক ধরনের অনলাইন জরিপ। সার্ভে কাজ কোথায় করা যায়? সার্ভের কাজ ইউএস এর বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট আছে সেখানে করা যায়। সার্ভের কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই ভিডিওটি দেখতে পারেন।



2. ব্লগিং করে ইনকাম:

ব্লগিং হলো গুগোল ওয়েবসাইটে ব্লগ পোস্ট করা। বর্তমান একটি ভালো উপার্জনের মাধ্যম হলো ব্লগিং।ব্লগিং করার জন্য আপনি ফ্রি তে একটি ব্লগ সাইট খুলতে পারেন। এবং সেখানে প্রতিদিন একটি আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারেন। এক থেকে দুই মাস পর আপনার ওয়েবসাইটটি মনিটাইজেশন পেলে আপনার ইনকাম শুরু হবে। এছাড়া আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর ভালো থাকলে আপনি বিভিন্ন ধরনের স্পন্সরশীপের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এটি স্টুডেন্টদের জন্য একটি পার্ট টাইম টাকা উপার্জনের খুব ভালো মাধ্যম। নিয়মিত আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবলিশ করলে মাসে আপনি অনায়াসে 30 থেকে 50 হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন।

3. ফেসবুক বিজনেস পেজ:

অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম এর জন্য আপনি একটি ফেসবুক বিজনেস পেজ খুলতে পারেন। সে পেজ থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট সেল করতে পারেন। এছাড়া নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে গুগল এডসেন্স থেকে ও ইনকাম করতে পারবেন। আপনার পেজে যখন অনেক বেশি ফলোয়ার হবে তখন আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের স্পন্সর নিয়ে ও উপার্জন করতে পারেন। 

4. ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম:

অনলাইন থেকে ইনকাম এর আরেকটি মাধ্যম হলো ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম। আপনি যদি একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখানে পড়াশোনা রিলেটেড বিভিন্ন ধরনের টিউটোরিয়াল আপলোড করতে পারেন। অথবা আপনার মাথা থেকে যা আসে আপনি তা দিয়েই একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন। নিয়মিত কনটেন্ট আপলোড দেওয়ার পরে আপনার চ্যানেলটি মনিটাইজ হয়ে গেলে আপনি গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

5. অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা ইনকাম:

সঠিকভাবে স্কিল ডেভেলপ করতে পারলে অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করা যায়। যেমন ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম ইত্যাদি।
তবে এসব মার্কেটপ্লেসে কাজ করার জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট একটি বিষয়ের উপর বিশেষ দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যেমন ধরুন ডাটা এন্ট্রি। ইউটিউবে টিউটোরিয়াল দেখে আপনি ডাটা এন্ট্রির কাজ শুরু করে দিতে পারবেন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে হবে। 

6. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমানে অনলাইন থেকে ইনকাম করার একটি শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। এর আগে বলে নেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? এফিলিয়েট মার্কেটিং হল আপনি নির্দিষ্ট একটি প্রোডাক্ট নিয়ে অনলাইনে মার্কেটিং করতেছেন এবং আপনার সেই প্রোডাক্টটি যদি কেউ কিনে নেয় তাহলে আপনি যেখান থেকে প্রোডাক্ট নিয়ে মার্কেটিং করছিলেন, সেখান থেকে একটি নির্দিষ্ট অ্যাফিলিয়েট কমিশন পাবেন।

একটি উদাহরণের মাধ্যমে বোঝানো যাক: মনে করুন আপনি অ্যামাজন থেকে একটি প্রোডাক্ট নিয়ে মার্কেটিং করতেছেন। সে ক্ষেত্রে মার্কেটিংয়ের জন্য আপনি একটি ওয়েবসাইট ব্যবহার করলেন। এখন আপনার ওয়েবসাইটে কোন ভিজিটর এসে যদি সেই প্রোডাক্টটি কিনে তাহলে অ্যামাজন আপনাকে সেই প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট একটি কমিশন দিবে এটিই হচ্ছে আফিলিয়েট কমিশন।

7. ডাটা এন্ট্রি:

ডাটা এন্ট্রি করে অনলাইন থেকে খুব সহজে ইনকাম করা যায়। এর কাজগুলো হলো কপি পেস্ট, টাইপিং, টাইপিং হতে পারে কোন একটি ইমেজ থেকে অথবা ভিডিও থেকে অথবা কোনো অডিও থেকে, ডাটা মাইনিং, ডাটা কালেকশন ইত্যাদি। 
মনে করুন, আপনাকে বলা হল রাজশাহী শহরের সেরা পাঁচটি হাসপাতালের লিস্ট সংগ্রহ করতে। এখন আপনি চলে গেলেন গুগলে, সার্চ করলেন রাজশাহী সেরা পাঁচটি হাসপাতাল। এখন আপনি একটি এক্সেল শিট তৈরি করলেন।


এখন সেই এক্সেল সিটে পাঁচটি হাসপাতালের নাম, লোকেশন, ফোন নাম্বার, ডিটেলস ইত্যাদি কালেক্ট করে ওই এক্সেল শিট টি আপনার বায়ার কে পাঠিয়ে দিলেন এটি হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি। 

8. ই-কমার্স বিজনেস:

ই-কমার্স বিজনেস কে কেন্দ্র করে আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে প্রথমে আপনি একটি প্রোডাক্ট বেছে নিলেন। তারপরে আপনাকে সেই প্রোডাক্টটি সরবরাহ করার জন্য একটি দোকানের সঙ্গে কন্টাক করতে হবে। এরপর আপনি দারাজে 1টি সেলার একাউন্ট খুলেন। যখনই দারাজ থেকে কোন প্রোডাক্ট এর অর্ডার পেলেন আপনি আপনার সেই দোকান থেকে সেটি সরবরাহ করে দেবেন এবং সেখান থেকে আপনি নির্দিষ্ট একটি কমিশন পাবেন। এভাবেও আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

9. অনলাইনে আপনার ক্যাপচার করা ফটো বিক্রি করে ইনকাম:

অনলাইনে কিছু কিছু সাইট আছে যেখানে আপনি আপনার ফোনের ক্যামেরা দিয়ে ক্যাপচার করা বিভিন্ন ধরনের ফটো বিক্রি করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার উঠানো ফটো গুলো কে একটু মডিফাই করে আপনি সেসব সাইটে আপলোড করতে পারেন। ওই সাইট গুলো আপনার ফটো যাচাই-বাছাই করে তারা লাইভ করবে। এরপর সেসব ফটো বিক্রি হলে প্রত্যেকটি ফটো প্রতি আপনি নির্দিষ্ট একটি কমিশন পাবেন। এভাবেও আপনি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।
অনলাইনে ফটো সেল করার কিছু ওয়েবসাইট:
উপরোক্ত বিষয়গুলো, ফলো করে আপনি খুব সহজেই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। একটি বিশেষ সতর্কতাঃ ডাটা এন্ট্রির ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই যে ক্লায়েন্টের কাজ করছেন সেটা যাচাই-বাছাই করে দেখে নিবেন কারণ অনলাইনে অনেক  স্কেম হয় এত পরিশ্রম করে কাজ করে যদি পরিশ্রমে টাকা না পান তাহলে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। সততার সাথে ভেবে চিন্তে কাজ করবেন আশা করি সফলতা আসবে। 

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.